ঢাকা    বুধবার, ১৫ মে ২০২৪


প্রচ্ছদ » শিরোনাম » হবিগঞ্জ-২ আসনে নৌকা পেতে মরিয়া ১৩ প্রার্থী

হবিগঞ্জ-২ আসনে নৌকা পেতে মরিয়া ১৩ প্রার্থী


রায়হান উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ ( সিলেট )
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩


 হবিগঞ্জ-২ আসনে নৌকা পেতে মরিয়া ১৩ প্রার্থী

সিলেট:  হবিগঞ্জ-২ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মার্কা নৌকা পেতে ১৩ জন প্রার্থী মরিয়া হয়ে উঠেছে।ইতি মধ্যে তাদের মনোননয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন পেতে ঢাকায় অবস্থায় করছেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সকল প্রার্থীরা।

এই আসন থেকে ১৩ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রত্যেকেই হতে চান নৌকার মাঝি। প্রত্যেকেই মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। এই আসনে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এ নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। তবে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন যাকেই দেওয়া হোক তার পক্ষেই কাজ করবেন এমনটিই জানিয়েছেন। কে হাসবেন শেষ হাসি সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। এই আসন থেকে দলীয় প্রতীক পেতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন ৩ বারের সাংসদ ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসান, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চৌধুরী আবুবক্কর ছিদ্দিকী,আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সাদিকুর রহমান পরাগ, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হোসেন মাষ্টার, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, সাবেক জজ ব্যারিস্টার এনামুল হক, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহাদ মিয়া, অ্যাডভোকেট আবুল আজাদ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকবর হোসেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল আপনাকে কি চতুর্থবারের মতো দলীয় প্রতীক দিবে এই বিষয়ে আপনি কতোটুকু আশাবাদী জানতে চাইলে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খান বলেন, আমি তিনবারের এমপি। নির্বাচিত হওয়ার পর আমি এলাকার চেহারা পাল্টে দিয়েছি। আমার সময় যে উন্নয়ন হয়েছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। আগে আজমিরীগঞ্জে নৌকার মাধ্যমে যেতে হতো আর এখন গাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হয়। আমার সাথে এলাকার সকল নেতাকর্মী ও জনগনের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রয়েছে। এমপি মজিদ খান আরো বলেন, দুই উপজেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার অভুতপূর্ব উন্নয়ন কাজ হয়েছে। বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দুটি হাওরবেষ্টিত হওয়ায় অতীতে আমাদের ভরসা ছিল ‘বর্ষায় নাও, হেমন্তে পাও’ এখন সেই অবস্থা নাই। বাংলাদেশের অতীতে যে কয়েকটি উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকা ছিল এর মধ্যে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দুটি ছিল অন্যতম।

শিক্ষা, যোগাযোগ, নদী খনন, খাল খনন, বিদ্যুৎসহ সকল সেক্টরে উন্নয়ন করে অত্র এলাকার আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়নের চাবিকাটি যার হাতে ন্যাস্ত সেই ম্যাজিশিয়ান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার কাজের মূল্যায়ন করবেন বলে মনে করি। এই আসনে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমাকে আবারো দলীয় মনোনয়ন আমার হাতে তোলে দিবেন প্রধানমন্ত্রী এই আশা ই করছি।
সাবেক জজ ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক ল’ অফিসার ব্যারিস্টার মো: এনামুল হক বলেন, বিগত ৩১ বছর ধরে আমি দেশে-বিদেশে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার ভোটারদের সুখে-দু:খে অদ্যবধি পাশে রয়েছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। তারপরও যদি দল আমাকে না দিয়ে অন্য কাউকে নেত্রী মনোনয়ন দেন আমি ওই প্রার্থীর জন্য কাজ করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লূৎফুর রহমান তালুকদার বলেন, তিনি ১৯৮০ সনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগে যোগদান এবং স্বৈরাচার বিরোধী ও বিএনপি জামায়াতের অগ্নি সস্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে রাজনীতি করে আসছেন। বর্তমানে সিনিয়র আইনজীবি হিসেবে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছেন।

অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার জানান,দুই উপজেলাতে দলের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলাম আমি। উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত দলীয় সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি সাংগঠনিক কর্মকান্ড সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি মাঠ লেভেলে কাজ করে যাচ্ছি এখনো। আশা করছি দলীয় নেত্রী আমার প্রতি সুবিচার করবেন। তারপরও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে বলছি দল যাকে দলীয় মনোনয়ন দিবে আমি তার পক্ষে কাজ করবো।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুবক্কর ছিদ্দিকী নিজেকে দলীয় প্রার্থী হতে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে অ্যাডভোকেট আবুবক্কর ছিদ্দিকী বলেন, দল যাকে ভালো মনে করে তাকে টিকেট দিবে। আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আসছি। বাকিটা দলীয় নেত্রী ও হাইকমান্ডের উপর নির্ভর করছে।
ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মরহুম শরীফ উদ্দিন আহমেদ এর পুত্র অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল বলেন, এই আসন নৌকার ভোট ব্যাংক, পাশাপাশি আমার পিতার জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এলাকায় কাজ করে যেতে বলেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমি দুই উপজেলায় সমানতালে ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাসহ সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। আশা করি প্রধানমন্ত্রী এইবার আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন আমি তার পক্ষেই কাজ করে যাব।
একটি পৌরসভা ও ২০ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-২ নির্বাচনী আসন। এ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে বানিয়াচং উপজেলায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ২২ ভোট। আজমিরীগঞ্জে ১ লাখ ৩ হাজার ৫৩ জন ভোটার রয়েছে।

এনএন

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৪:৩০   ৩৫২ বার পঠিত  |      







শিরোনাম থেকে আরও...


চরতারাপুরে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে উঠান বৈঠক
ভূঞাপুরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে জিম্মি করে ডাকতি
বাউফলে ভোট বর্জনে বিএনপির শতর্ক লিফলেট বিতরন
দোহারে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
বাউফলে ভোট বর্জনের লক্ষে বিএনপির



আর্কাইভ