রোদের উপকারিতা অনেক। ফাঙ্গাল যেকোনো ইনফেকশন দূর করতে কাজ করে সূর্যের আলো। তাই শরীরে ছত্রাকজনিত কোনো ইনফেকশন থাকলে প্রতিদিন রোদে বসতে হবে। নবজাতক শিশুদের জন্ডিস হলে বিশেষ নিয়ম মেনে শিশুকে নিয়ে সকালের রোদে বসতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে রোদের কার্যকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে রোদ পোহালে শরীরে মেলাটোনিন হরমোন বাড়ে। এটি ঘুম আনতে সহায়ক। ওজন কমাতে সাহায্য করে রোদ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যের আলোতে থাকলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে অনেকটাই। আর কোলেস্টেরল কমলে কমে ওজনও। হাইপার টেনশন থেকে মুক্তি দিতে পারে রোদ। সকালের রোদ মানব শরীরের রক্তচাপ কমাতে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। রোদে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলে মনও উৎফুল্ল হয়।
কখন এবং কতক্ষণ রোদ পোহাবেন?
গবেষণা অনুযায়ী শিশু ও তরুণদের প্রতিদিন ৬০০ আইইউ বা ১৫ এমসিজি ভিটামিন ডি দরকার। দুপুরের ঠিক আগমুহূর্ত হলো রোদে যাওয়ার সঠিক সময়। কারণ এ সময়ে সূর্যের তাপ বেশি থাকে। তাই অল্প সময়েই আপনি পেয়ে যাবে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি।
সময়টাতে ভিটামিন ডি নেওয়ার জন্য শরীর সব থেকে বেশি উপযোগী থাকে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মিড ডে’র পরে রোদে যাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর। এতে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ সময় যতটা সম্ভব ছোট হাতার পাতলা কাপড় পরতে হবে, যেন রোদ সরাসরি গায়ে লাগে।
মুখে রোদ লাগাতে না চাইলে সূর্যের দিকে পিঠ এলিয়ে দিয়ে বসতে পারেন। ত্বক খুব বেশি স্পর্শকাতর না হলে সানস্ক্রিন ছাড়া কিছু সময় রোদে বসলে ত্বক বেশি ভিটামিন ডি পাবেন। এ ছাড়া চাইলে সানগ্লাস ও হ্যাট পরেও রোদে বসা যায়। ত্বকের রঙ সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রঙ যত গাঢ় (যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রঙ যত কালো, তাকে তত বেশি সময় রোদে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৮:০২ ৪২২ বার পঠিত | ● মানুষ ● রোদ ● শরীর