ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ময়মনসিংহ: ফুলপুর উপজেলায় মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রাম এক কথায় পুরো উপজেলা জুড়ে হিমেল হওয়ায় দোল খাচ্ছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন।
সবুজ ধানের বুক চিরে বেরিয়েছে ছড়া।ছড়াগুলো হয়েছে বড়,আর বড় হয়েছে কৃষকের স্বপ্ন।ক’দিন পরেই ধানের সবুজ গাছ এবং কাঁচা শিষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে।এরপর সোনালী ধানের শিষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ।
কাটার ধুম পড়তে সপ্তাহ খানেক বাকি থাকলেও এখনি দেখে মনে হয় যেন সোনার পারদ পড়ে আছে ধানক্ষেতে মাঠে মাঠে মৃদু মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে কাঁচা পাকা ধানের শীষ।ঝাঁঝালো রোদের মাঝে মাঠে মাঠে সবুজ আর সোনালি ধানের হাসি যেন কৃষকদের মনে আনন্দ বয়ে আনছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়,সোনালী ধানের শীষে দুপুরে সূর্যের সোনালি রোদ যেন খেলায় মেতেছে।
তবে কৃষকের সাথে কথা বললে নানা কষ্ট-দুর্দশা কাটিয়ে সফলতার গল্প তুলে ধরে।বালিয়া উত্তরকান্দা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান গত বছরের চেয়ে এ বছর আমন ধানে কাঙ্খিত স্বপ্নের এ ক্ষেতে আশাতীত ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।যদিও বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগ পোকা মাকড়ের উপদ্রপে একাধিকবার দিতে হয়েছে কীটনাশক,বেড়ে গেছে উৎপাদনের খরচ।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২২ হাজার ১৭৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।
ধান নির্ভরশীল এলাকা হিসেবে ফুলপুরের প্রধান আবাদই বোরো ধান।বিশেষ করে উপজেলার সদর ফুলপুর ছনধরা,ভাইটকান্দি বালিয়া বওলা রূপসি ইউনিয়ন বোরো ধানের জন্য খ্যাত।
উপজেলা কৃষি অফিস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম কামু জানান জানায় বোরো চাষে কৃষকরা যাতে প্রতারিত না হন এ জন্য শুরু থেকেই আমরা মাঠ পর্যায় তদারকি করেছি।বিশেষ করে বীজ,সার ও সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশেষ করে বোরো ধান রোপনের শুরু থেকেই আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন।
এছাড়া কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে বিনামূল্যে উন্নত মানের বীজ ও সার,কীটনাশক সহায়তা ও সুবিধা এবং কৃষি অফিসার নিজে মাঠকর্মীদের সাথে মাঠে গিয়ে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।
এল/আর
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৫:৪৮ ১৯২ বার পঠিত | ● ধানের ● ফুলপুর ● ময়মনসিংহ ● হাসছে ● হাসিতে