ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম
![]()
হবিগঞ্জ: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা,নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুর বিরুদ্ধে দলীয় বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত শনিবার নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় এক রেজুলেশন করা হয়েছে। রেজুলেশনে বলা হয়েছে জনপ্রিয় এই নেতাকে দলের স্বার্থে বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা জরুরি। নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মুখাবেলায় নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি মনে করে মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুর দরকার ।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তৃর্ণমুল নেতাকর্মীসহ একই দাবী ফেসবুকসহ বিভিন্ন সভা সমাবেশে করে আসছেন। ডক্লিন ইমেজের এই সাবেক ছাত্রনেতা থেকে বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে ২০২৪ সালে একাই লড়াই করে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থীকে বিপুল ভোটে ব্যবধানে পরাজিত করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ফলে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করায় কেন্দ্রীয় বিএনপি তাকে দল থেকে বহিস্কার করেন। দেশের পঠ পরিবর্তন হলে নির্বাচিত হয়েও সারাদেশের ন্যায় চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হন। তবুও দলীয় কর্মকান্ড থেকে হাল ছাড়েন নি। তার অনুসারীরা দলীয় সকল কর্মকান্ডে ছিল সোচ্চার।
গত ৩ আগষ্ট নবীগঞ্জ উপঝেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি অংশ না নিতে পারলেও তার প্রধান প্রতিপক্ষ সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার গ্রুপের সুপার ফাইভের ৫ প্রার্থীকে পরাজিত করে নিজ বলয়ে ৫জনকে বিজয়ী করে সর্বত্র আলোচনায় আসেন। এই কাউন্সিলে প্রভাব বিস্তার করে আবারও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তুমুল আলোচনায় আসেন।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, ৯০ দশকের মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি একজন সক্রিয় ছিলেন। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিএনপির রাজনীতির যাত্রা শুরু করেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তার অগ্রণী ভুমিকা ছিল প্রশংসিত। বিগত সরকারের আমলে ১৭ বছর তিনি বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামীলগি সরকার পতনের ৬ মাস আগে তিনি দলীয় পদ হারান উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে।
এর আগে তিনি বিগত ১৭ বছরে ১৫টি মামলা সহ একাধিকবার গ্রেফতার ও কারাবরন করেন। নবীগঞ্জ উপজেলা তৃর্ণমুল বিএনপিকে ঢেলে সাজাঁতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাঠ সরব রাখেন। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মুজিবুর রহমান শেফু। দলের র্দূদিনে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়েন। এরই মধ্যে বিএনপির মধ্যে শুরু গ্রুপিং লবিং। বিশাল একটি অংশের নেতৃত্ব দেন তিনি। যার প্রমান মিলে বিগত উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে। বহিস্কার হয়ে তার বলয়ের পুরো প্যানেলে সুপার ফাইভে ৫জন প্রার্থী বিজয়ী করে বাজিমাত করে চমক সৃষ্টি করেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ কোষাধক্ষ্য ও আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুন্ম সাধারন সম্পাদক শিহাব আহমদ জানান, মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু অত্যান্ত ক্লিন ইমেজের অধিকারী একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। যাকে দুর্নীতির কালো থাবায় আচ করতে পারেনি। যে কারনে তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। আগামি সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়াইয়ে তার বিকল্প নেই। তিনি বিগত উপজেলার বিএনপির কাউন্সিলে দলের বাহিরে থেকেও তার বলয়ের সুপার ফাইভের ৫জন প্রার্থীকে তিনি বিজয়ী করেন এতেই প্রমান হয় দলের মধ্যে তিনি কতটা জনপ্রিয়।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিদুর রহমান মজিদ বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুর বিরুদ্ধে দলীয় বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত শনিবার নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় এক রেজুলেশন করা হয়েছে। রেজুলেশনে বলা হয়েছে জনপ্রিয় এই নেতাকে দলের স্বার্থে বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা জরুরি।
নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মুখাবেলায় নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি মনে করে মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুর দরকার ।তিনিও দুরে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলন সংগ্রামে উৎসাহিত করেছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে মুজিবুর রহমান শেফুর বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ মানুষের মন জয় করতে সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ মতিউর রহমান পেয়ারা বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে মুজিবুর রহমান শেফুর বিকল্প নাই। ফলে বিএনপির তৃর্ণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ আমজনতার দাবী অতি দ্রুত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান শেফুর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে আনা হউক।
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু বলেন, আমি দলের বিরুদ্ধে কোনদিন অবস্থান নেইনি। সব সময় দলের পক্ষে কাজ করেছি। ২০২৪ সালের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে জনতার চাপে প্রার্থী হলেও দলের কোন কাজে বিরোধিতা করি নাই। দলীয় সব কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছি।
এন, আর
বাংলাদেশ সময়: ২০:১০:১২ ১৭৩ বার পঠিত | ● নবীগঞ্জ ● নেতা ● প্রত্যাহার ● বহিস্কারাদেশ ● বিএনপি