ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম
![]()
ফরিদপুর: “কেন যে ভাগ করো তুমি নদী ও আকাশ পূর্ণিমার চাঁদ ও আমার ব্যবধান। আমি আকাশ দেখতে গিয়ে মধুজোছনায় তোমাকে দেখলাম।”
শব্দগুলো নাজমুল হক নজীরের এর কবিতার পঙক্তিমালা। আজ এই বরেণ্য কবির ৭১তম জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গেল শতাব্দীর ৭০ দশকে বাংলা সাহিত্যে যে ক’জন কবি সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তাদের একজন নাজমুল হক নজীর।
নাজমুল হক নজীর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি। বলা চলে কবিতার জন্য তিনি একজীবন ব্যয় করেছেন। তার কবিতায় মধ্যবিত্তের জীবনচিত্র আর সমাজচিত্র শিল্পদৃষ্টিতে দারুণভাবে পরিস্ফুটিত হয়েছে। কবিতায় মিথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন কিশোরমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কবির জীবনী থেকে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে তিনি কখনো কোনো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নেননি এবং পরবর্তী সময়ে নিজেকে কখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেননি। পেশাগত পরিচয়ে নাজমুল হক নজীর সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । দীর্ঘদিন পাক্ষিক ‘নজীর বাংলা’র প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক দায়িত্ব পালন করেছেন ।
দেশে ও দেশের বাইরে লিটল ম্যাগাজিনে কবিতা লিখেছেন নিয়মিত। প্রথম কবিতা ‘হাওয়া থেকে পাওয়া’ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘স্বৈরিণী স্বদেশ। এছাড়া নাজমুল হক নজীরের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ‘কালো জোছনার এক চুমুক’, ‘কার কাছে বলে যাই’, ‘ঘুরে দাঁড়াই স্বপ্ন পুরুষ’, ‘স্বপ্ন বাড়ি অবিরাম’, ‘এভাবে অবাধ্য রঙিন’, ‘ভিটেমাটি স্বরগ্রাম’, ‘বকুল ভেজা পথঘাট’ প্রভৃতি তার কাব্যগ্রন্থ। ‘সাধনার ফসল’, ‘আবার স্লোগান’, ‘ইষ্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম’ কবির ছড়ার বই সম্পাদিত গ্রন্থ।
এন/ আর
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৮:০১ ১৪৬ বার পঠিত | ● কবি নাজমুল হক নজীর ● ৭১তম জন্মদিন