ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম
![]()
কুড়িগ্রাম: উলিপুরে শরীকদের গোপন করে অবৈধ ভাবে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ উঠেছে সাব- রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে ।অবৈধ ভাবে দলিল সম্পাদন না করতে পারে সে ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাসুদ রানা সহ অন্নান্য শরিকরা সোমবার (০৩ নভেম্বর)উপজেলা সাব-রেজিস্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। সাব রেজিষ্টার অভিযোগের তোয়াকা না করে রেজিষ্টি সম্পাদন করেন বলে বিবাদী রাশিদা বেগমের দেবর অভিযোগকারী মাসুদ রানা জানান।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, উলিপুর মৌজার ১.১৩২৫ একর এবং গোড়াই মৌজার ১.১৪ একর মোট ২.২৭২৫ একর জমির মধ্য হইতে বন্টন নামা অনুযায়ী আমিসহ আমার মা, বোনেরা ও মালিক। ওই জমি আইনানুগ ভাবে এখনো আমাদের মাঝে কোন প্রকার ভাগ বণ্টন সম্পাদন হয় নাই । তাছাড়া জমি গুলো ইসলামী ব্যাংক, কুড়িগ্রাম শাখায় মর্গেজ রয়েছে। এ ছাড়াও ওই জমির খারিজ বাতিলের মামলা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জজ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলমান রয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, বিবাদীগণ আমার অন্যন্য দাগের জমি বিক্রয় করার পায়তারা করছে। জমির অন্যান্য অংশীদার থাকা সত্ত্বেও ১-৩ নং বিবাদীসহ মিফতাহুল জান্নাত সৃষ্টির নামে একক ভাবে খারিজ করেন। পরে খারিজ বাতিলের মামলা করা হয়। আদালতে মামলা চলমান থাকাকালে আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী বিবাদী রাশিদা বেগম গোড়াই মৌজার ৯০.৯০ শতাংশ এবং উলিপুর মৌজা হইতে ০৮ শতক জমি বিক্রয় করে।এতে মাসুদ রানাসহ অন্যান্য শরীকগণ জমির অংশ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
উলিপুর পৌর শহরের কাচারীপাড়ার মৃত মমিনুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা বেগম, তার দুই কন্যা মোরছালিন বেগম (মেঘলা) ও মছছিরাত নাসরিন মৌনতা তারা বৈধ ভাবে জমি বিক্রি করেছেন বলে জানান।
ইসলামী ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মর্গেজকৃত জমি বিক্রি করে তারা ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে। মর্গেজ থাকা অব জমি বিক্রি হয় কি ভাবে এ প্রশ্নের উত্তর এরিয়ে যান তিনি।
উলিপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্টার মো. অহেদুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, জমি বিক্রেতার বৈধ কাগজপত্র ও জমির খাজনা খারিজ দেখে জমি দলিল করা হয়েছে। এতে আইনে কোন ব্যতয় হয়নি। আপত্তি থাকলে দলিল বাতিলের মামলা করতে পারেন।
এন/ আর
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৬:৩৯ ৬৪৩ বার পঠিত | ● অভিযোগ ● উলিপুর ● জমি বিক্রি ● ব্যাংক ● মর্গেজ